দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী এবং তার স্ত্রী সাহেদা বেগমের অবৈধভাবে অর্জিত স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত। মুজিবুল হক চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপ-পরিচালক মো. আতিকুল আলম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক মুজিবুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেন, যার মধ্যে একটি মামলায় মুজিবুলের স্ত্রী সাহেদা বেগমকেও আসামি করা হয়। মামলার পর মুজিবুলের ৬৭ লাখ ১৩ হাজার ৫৯১ টাকা এবং সাহেদার ৭০ লাখ ৯৯ হাজার ৬২২ টাকার স্থাবর সম্পদ জব্দের আবেদন করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান। তার আবেদনের ভিত্তিতে মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালত এ আদেশ দেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মুজিবুল হক জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৫৬ লাখ ৭১ হাজার ১৪ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন, যা দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
গত বছরের ৬ নভেম্বর মুজিবুল হক একটি জনসভায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হুমকি দেন, যা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ‘অবরোধ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে’ আয়োজিত চাম্বল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভায় মুজিবুল হক চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় এই হুমকি দেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তার বক্তব্যকে ‘সহিংস বক্তব্য’ হিসেবে উল্লেখ করে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের এই আদেশ মুজিবুল হক চৌধুরী এবং তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ ক্রোকের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।